প্রকাশিত: Thu, Dec 29, 2022 4:15 AM
আপডেট: Mon, May 12, 2025 7:56 AM

অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রী সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর জন্মদিন

আশিক নূরী : [১] নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) টাঙ্গাইলস্থ ধনবাড়ির(তৎকালীন মধুপুর) জমিদার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তাঁর দৌহিত্র মোহাম্মদ আলী বগুড়া পাকিস্তানের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তাঁর এক পুত্র সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। [২] নওয়াব সাহেব ১৮৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার বিখ্যাত ধনবাড়ি জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শৈশবে গৃহ শিক্ষকের কাছে আরবি, ফার্সি ও বাংলায় বিশেষ শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এবং পরবর্তীতে তিনি কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জোভিয়ার্স কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন। [৩] ১৮৯৫Ñ১৯০৪ পর্যন্ত নওয়াব সাহেবের কর্মতৎপরতা ছিল প্রধানত সাহিত্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্রিক। 

১৮৯৫ সালে মিহির ও সুধাকর পত্রিকা একত্রিত হয়ে সাপ্তাহিক মিহির-সুধাকর নামে আত্মপ্রকাশ করে। [৪] শিক্ষানুরাগী অনন্য জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ সমূহের মধ্যে রয়েছে ‘ঈদুল আযহা (১৮৯০)’, ‘মৌলুদ শরীফ (১৯০৩)’, ‘ভারনাকুলার এডুকেশন ইন বেঙ্গল (১৯০০)’, ‘প্রাইমারি এডুকেশন ইন রুরাল এরিয়াস্(১৯০৬)’। [৫] নওয়াব আলী চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রী। এদেশে নওয়াব আলী চৌধুরী ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জমি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ১৯১০ সালে তিনি নিজ এলাকা ধনবাড়ীতে নওয়াব ইনস্টিটিউট নামের একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া সোনাতলা, কোদালিয়া, গফরগাঁও, পিংনা, জঙ্গলবাড়ি, হয়বতনগরসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সহায়তা করেন। [৬] সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ১৭ এপ্রিল ১৯২৯ সালে (১ বৈশাখ, ১৩৩৬ বাংলা) দার্জিলিংয়ের (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) ইডেন ক্যাসেলে  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।